রজনীর লেখনীতে কলমচাষী (হার্ডকভার)
রজনীর লেখনীতে কলমচাষী (হার্ডকভার)
৳ ২৯০   ৳ ২৪৭
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১১৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৬৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

যে কোনো কিছু পড়ার একমাত্র যুক্তিসঙ্গত কারণ হলো আমরা তা উপভোগ করি বা উপভোগ করার আশা রাখি। আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গিই সাহিত্যের মূল ভিত্তি গড়ে তোলে। একজন ব্যক্তির বিশ্বকে দেখার, শোনার, বোঝার ও অনুভব করার উপায় হলো সাহিত্য। সাহিত্য অনুশীলনে জড়িত হওয়ার জন্য প্রথম প্রয়োজনীয়তা হলো উপলব্ধি। সাহিত্য সৃষ্টির জন্য লেখকের অবশ্যই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় থাকতে হবে, অর্থাৎ চিন্তার সংবেদনশীলতা। অন্যান্য পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মতো এই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সহজাত নয়; এটি আমাদের গড়ে তোলা প্রয়োজন। গানের পরেও গানের রেশ মুছে যায় না। সাহিত্যপাঠেও তেমনটাই ঘটে, শেষ হলেও শেষ হয় না। একজন বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপকের সাহিত্য সম্পর্কে আগ্রহ থাকা অস্বাভাবিক নয়। যদিও বিজ্ঞান এবং সাহিত্য দুটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র। কিন্তু এদের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সাহিত্য প্রীতি সাধারণত এমন রচনাগুলির প্রতি থাকে যা বিজ্ঞান এবং সমাজের মধ্যকার সীমানা অন্বেষণ করে। যদিও বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের পরিধি আলাদা, তবুও এদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে। সাহিত্য মানব অভিজ্ঞতা, অনুভূতি এবং কল্পনার জগতকে প্রকাশ করে, যেখানে বিজ্ঞান বাস্তব তথ্য ও যুক্তির ভিত্তিতে প্রাকৃতিক জগৎকে বোঝার চেষ্টা করে। উভয় ক্ষেত্রেই কৌতূহল, সৃজনশীলতা এবং ভাষার ব্যবহার থাকে। একজন সাহিত্যপ্রেমী বলতে পারেন নীল রঙ ভালোবাসার রঙ, শান্তির রঙ। নীল রঙ দেখলে মন ভালো লাগে; এটি সুন্দর, শান্ত ইত্যাদি। একজন বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি বলবেন সূর্য ক্রমাগত শক্তি বিকিরণ করে, যা আলোর রশ্মি রূপে পৃথিবীতে পৌঁছায়। এই রশ্মি গুলি হলো বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ, যার বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের হয়। পৃথিবীর পৃষ্ঠের ২৫-৩৫ কিমি উপরে অবস্থিত ওজোন স্তর ক্ষতিকর রশ্মি (যেমন গামা রশ্মি, এক্স-রে, অতিবেগুনী রশ্মি ইত্যাদি) প্রতিরোধ করে, কিন্তু দৃশ্যমান আলোককে বাধা দেয় না। সাত রঙের বর্ণিল রশ্মি থাকার পরও আকাশ কেন নীল দেখায় ? কারণ ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য (যেমন নীল ও বেগুনি) বেশি ছড়ায় এবং আমাদের চোখে পৌঁছায়। কাজেই আকাশের নীল রঙ সুন্দর, শান্ত মনে করার পিছনে কল্পনার পিছনে এটাই বাস্তবতা। সাহিত্য আমার মনকে যখন দখল করেছে তখন আমার মন ছিল খালি একটি বাক্স, তখন ধীরে ধীরে সেটি একটি ফলপ্রসূ এবং চিন্তার সংগ্রহশালা হয়ে উঠেছে। সাহিত্য আমার শূন্য মনকে একটি প্রাণবন্ত, অনুপ্রেরণাদায়ক মননে রূপান্তরিত করেছে, আমার কৌতূহলকে লালন করেছে এবং জ্ঞানের জন্য আমার আকাঙ্ক্ষাকে জ্বালানি দিয়েছে। এটি আমাকে নতুন ধারণার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, আমার দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করেছে এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ শব্দ গুলির মাধ্যমে আমার আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।ফলস্বরূপ, আমি নিজেকে আরও পড়তে, আবেগের সাথে লিখতে ও অন্তহীন জগতের অন্বেষণ করতে আগ্রহী করেছে। অনেকের মতে, বিশেষত আজকাল দ্রুত গতির যুগে সাহিত্য সৃষ্টি ও পর্যালোচনা সময়সাপেক্ষ বলে মনে করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক মঞ্চগুলি নিঃসন্দেহে সাহিত্যের অনেক দিক দ্রুত করতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) সাহায্য নিয়ে সাহিত্য চর্চা প্রায়ই অন্তসারহীন, রোবোটিক, আবেগহীন মনে হয়। সেইজন্য কেউ AI উপন্যাস লিখবে তা ভাবতে পারি না। সাহিত্যচর্চার কলমে আমাদের লেখনী সাহিত্য পরিষদ ও আরো তিনটি সহযোগী গোষ্ঠী সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে । তারা সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরছে, মানুষের মধ্যে অনুভূতি জাগ্রত করছে এবং সামাজিক উন্নয়ন ও বিকাশে সহায়তা করছে। ‘কলম চাষী’ নামটি আমি ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করি কারণ এর পিছনে সামান্য বিজ্ঞান আছে। কলম চাষীর সাহিত্য ও কৃষকের মাটি কর্ষণ ও ফসল ফলানোর মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সাযুজ্য বিদ্যমান। উভয় ক্ষেত্রেই, সৃজনশীল প্রক্রিয়া এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একটি নতুন কিছু তৈরি করা হয় ও মানুষের মনের চাহিদা ও খাদ্যের চাহিদা মেটে। আমাদের এই সাহিত্য গোষ্ঠীগুলির আড়ালে সবসময় এক পরিচালিকা শক্তি কাজ করছে। তিনি হচ্ছেন আমার ভ্রাতৃসম, অত্যন্ত প্রিয় রজনী কান্তি দাস। হ্যাঁ, “রজনী” শব্দের অর্থ সাধারণত রাত বা রাত্রি হলেও, সে কিন্তু আমাদের সাহিত্য পরিষদের এক আলোকবর্তিকা। রজনী যেন আমাদের প্রভাত। কবিগুরু সৃষ্টি মনে পড়ছে এই প্রসঙ্গে- “রজনী প্রভাত হল পাখি, ওঠো জাগি, আলোকের পথে চলো অমৃতের লাগি।” “রজনীর লেখনীতে কলম চাষী” সাহিত্যের সংকলন গ্রন্থের সম্পাদনার ভার আমার উপরে ন্যস্ত হওয়ায় আমি সম্মানিত ও গর্বিত। জানিনা এই দায়িত্ব পালনের আমি উপযুক্ত ব্যক্তি কি না। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি যে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই কাজটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, পাঠকদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করবে।

Title : রজনীর লেখনীতে কলমচাষী
Editor : ড. পার্থ প্রতিম বিশ্বাস
Publisher : ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী
ISBN : 9789842903434
Edition : 1st Published, 2025
Number of Pages : 96
Country : Bangladesh
Language : Bengali

If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]